দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নগরীতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) শুরু করেছে।
তৃতীয় পর্যায়ে চিরুনি অভিযানের তৃতীয় দিনে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
১০ আগস্ট (সোমবার) মোট ১৩ হাজার ৬৫৬ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৭৫ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭ হাজার ৯৫৯ টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে সেসকল স্থানে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এসময় ২৬ টি মামলায় মোট ৬২ হাজার ৩০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
আজ উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট ১হাজার ২২৪ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ৩টি মামলায় মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ১হাজার ২৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে মোট ২হাজার ৮৩৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৫০ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাসার বাহিরে মাস্ক ব্যাবহার না করার অপরাধে ১৯টি মামলায় মোট ১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মহাখালী, অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৭০৫ টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৩ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১হাজার ৬৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ২টি মামলায় মোট ৪২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট ১হাজার ৩৭৭টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, তবে কোন জরিমানা করা হয়নি। এছাড়া ৭১৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট ২ হাজার ৩৯৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৯৩১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে মোট ১হাজার ১৫০ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ২টি মামলায় মোট ৫হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ৮১৪ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ৯৬৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৪২টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭৩৪ টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৪৩৫ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৮৯ টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ২৭৮ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৭৭৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে কোন এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৬০৭ টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উল্লিখিত সকল সম্ভাব্য এডিস মশার প্রজন স্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি।