দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর এবং ইতোমধ্যে তা স্পষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয় কোনো অপরাধীর আত্মরক্ষার ঢাল হতে পারে না, তা দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন।
রোববার(৯ আগস্ট) সেতুমন্ত্রী নিজ বাসভবন থেকে গোপালগঞ্জ সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিং-এ এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানসহ সাম্প্রতিক স্বাস্থ্যখাত ও অন্যান্য খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সরকার স্বতপ্রণোদিত হয়ে পরিচালনা করছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন আজ যারা অনিয়ম নিয়ে কথা বলছেন তাদের সময়কালে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পাশাপাশি দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতি বিষয়ক ধারা বাতিল করে বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি দিয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকার কোনো অপরাধীকে দলীয় পরিচয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড অভিযুক্তরা দলীয় পরিচয়েও ছাড় পায়নি। বুয়েট-এর আবরার, বরগুনার রিফাত শরীফ, ফেনীর নুরসরাতসহ অন্যান্য ঘটনায়ও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বিএনপি তাদের সময়কালে এমন কোনো নজীর সৃষ্টি করতে পেরেছে কিনা তা জানতে চান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের রাজনীতিতে উদারতার মুর্ত প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট ছিল শেখ হাসিনা। ১৫ আগস্ট পিতামাতাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাÐের ক্ষত বুকে চেপে তিনি গিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার বাসায় সন্তান হারা মাকে সান্তনা দিতে। সেখানে তাঁর সাথে কি আচরণ করেছিল তারা, তা বিএনপি ভুলে গেলেও আওয়ামী লীগ ভুলেনি।
এর আগে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি কর্মদক্ষতা মূল্যায়ণ করা হবে। সরকারি অর্থ ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা পালনের পাশাপাশি অপচয় রোধ করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সড়ক নির্মাণে গুণগতমান অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। কাজের মান ধরে রাখতে এবং সময়মত শেষ করতে কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকি বাড়ানোর উপর এসময় তিনি জোর দেন।
মন্ত্রী ঈদের পর ফেরত যাত্রায় সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ সময় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহ্রিয়ার হোসেন, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব চন্দন কুমার দে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব মনির হোসেন পাঠান, গোপালগঞ্জ সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব মো. জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত ছিলেন। # কাশেম