দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
চুয়াডাঙ্গায় সরোজগঞ্জ বাজারে রয়েল এক্সপ্রেস বাসের চাপায় ৬ জনের মৃত্যূর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে এই মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের চাপায় ৬ জনের মৃত্যূ এবং আরো ৩জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভান্ডাদুয়া গ্রামের নিতাই হালদারের ছেলে ষষ্টি হালদার (৪০), খাড়াগুদা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে মিলন হোসেন (৩০), তিতুদহ গ্রামের পিয়াস আলীর ছেলে রাজু আহমেদ (৩৫), একই গ্রামের লুতা মণ্ডলের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৮), হায়দার আলীর ছেলে কালু মন্ডল (৪০) এবং রহিম মন্ডলের ছেলে শরিফ হোসেন (৪০)।
অপরদিকে আহতরা হলেন- সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের বজলুর রহমানের ছেলে পথচারী বাবলুর রহমান (৩৫), তিতুদহ গ্রামের আলমসাধু আরোহী খোদাবক্স আলীর ছেলে আকাশ হোসেন (২৮) এবং রহিম মণ্ডলের ছেলে জুম্মাত আলী (৩০)। আহতদেরকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
জানা যায়, যাত্রীবাহী নৈশকোচ রয়েল এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে যাত্রীবাহী নৈশকোচটি প্রথমে একটি আলমসাধুকে ধাক্কা দেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে পাখিভ্যান, মোটরসাইকেল ও আরো একটি আলমসাধুসহ সাতজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়।
সরোজগঞ্জ বাজার থেকে মিতালী সিনেমা হল পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা আলমসাধু, পাখিভ্যান এবং মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফখরুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালের ভর্তি করেছি।
তিনি বলেন, আলমসাধু, পাখিভ্যান, মোটরসাইকেল সঠিক পথ দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নৈশকোচটি ভুল পথে গিয়ে তাদেরকে ধাক্কা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নৈশকোচটি আটক করা হয়েছে। নৈশকোচের চালক ও সহকারীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। # কাশেম