আবুল কাশেম ,দূরবীণ নিউজ:
রাজধানীর আজিমপুরে ১২শ’ বছরের পুরনো হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহ.) মসজিদ-মাজারটি অবহেলিত ও জরাজির্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আজিমপুর অফিসার্স কলোনীর ভেতরে অবস্থিত ও ঐতিহ্যবাহি ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠানটি দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে গত ৬ আগস্ট নেয়াজ আহমদ খান নামে এক ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপসের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। আদেবনকারী বিশিষ্ট সমাজ সেবক নেয়াজ আহমদ খান মানবিক ও ধর্মীয় গুনাবলি সম্পন্ন ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের ১২শত বছরের পুরনো এই স্থাপনাটি পূণঃনির্মাণে আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
তিনি আবেদনে উল্লেখ করেছেন, প্রায় ১২শ’ বছর পূর্বে হিজরী ২৮১ সালে ইসলামের অন্যতম মহান সাধক হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহ.) আরব দেশ থেকে বাংলায় আসেন ইসলাম প্রচার করতেন। এই মহান ধর্ম প্রচারকে ইন্তেকালের পর আজিমপুরস্থ উন্মক্ত স্থানে (যা বর্তমান সরকারী অফিসার্স কলোনী) দাফন করা হয়। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ লোকজন হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহ.) মাজারের সাথেই একটি ছোট মসজিদ নির্মাণ করেছেন।
কিন্তু সেই পুরনো আমলের মসজিদ ও মাজারটি বর্তমানে জরাজির্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কালের বিবর্তনে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার অনেক উন্নয়ন হলেও প্রায় ১১ শতাংশ জামির উপর নির্মিত হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহ.) এর মসজিদ ও মাজার কাঠামোর কোনো উন্নয়ন হয়নি।
আজিমপুর সরকারী অফিসার্স কলোনীর অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদ ও মাজার বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের দপ্তরে নিবন্ধন নং-ইসি-১৫৬১২ মূলে একটি ওয়াক্ফ এষ্টেট হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
আবেদনকারী নেয়াজ আহমদ খান আরো উল্লেখ করেছেন, গত ২ আগস্ট সকালে তিনিসহ বেশ কয়েকজন হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহ.) এর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখেন মাজারের দরজা বন্ধ । আর বৃষ্টি ও ময়লা পানি মাজারের বাইরে ও ভিতরে জমাট বেঁধে রয়েছে। মাজার-মসজিদের প্রতি অবহেলা দেখে তারা অনেকটা মর্মাহত হয়েছেন।
তিনি জানান,বর্তমানে ১টি দোকান ও ১টি ঘর ভাড়া ব্যতিত হযরত ইব্রাহিম আদহাম (রহ.) মাজার-মসজিদের আর কোন নিজস্ব আয় নেই। আর মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও কলোনীর সরকারী কর্মকর্তাদের দান অনুদানেই এর পুরোব্যয় নির্বাহ করা হয়।
তিনি জানান, প্রায় ১ বছর আগে মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের নিকট মাজার ও মসজিদ পূণঃনির্মাণের আবেদন করেও কোন সাড়া পাওনা যায়নি। ওয়াক্ফ প্রশাসনের তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা থাকা সত্ত্বেও এই পুরনো স্থাপনাটি ( মাজার-মসজিদ) পূণঃনির্মাণে উদ্যোগী হচ্ছেন না। তবে অনেকের ধারনা মাজার-মসজিদটির অবস্থান কলোনীর বাইরে হলে সরকারী সাহায্য ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই প্রতিষ্ঠানটি আরো ভালোভাবে চলতো।
লালবাগ থানাধীন আজিমপুরস্থ হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহ.) মাজার-মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা বাদল ও আনোয়ার হোসেন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে। কিন্তু আশানুরুপ সাড়া না পাওয়ায় তারা উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছেন না বলে জানা যায়।
যারফলে এই পরিস্থিতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর পিতা, মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নুর তাপসের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। মেয়রের কল্যান তহবিল কিংবা নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে জনস্বার্থে হযরত ইব্রাহীম আদহাম (রহ.) মাজার ও মসজিদটি পূণঃনির্মাণের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও ভক্তদের দীর্ঘদিনে প্রত্যাশা পুরনে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আবেদনকারী
নেয়াজ আহমদ খান। # কাশেম
চমৎকার প্রতিবেদন। ধন্যবাদ প্রতিবেদক ও সম্পাদক আবুল কাশেম ভাইকে।