দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
এবার কক্সবাজারে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও এলাকার মানুষের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল পরিচালনা করা হবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান এবং পুলিশের আইজিপি উভয়ই সম্মত হয়ে স্ব স্ব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত মর্মাহত এবং এটাই শেষ ঘটনা বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটবে না। খবর বাসস।
বৃহস্পতিবার ( ৬ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়ে বলা হয়, বুধবার সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজিপি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্ব স্ব বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান আস্থা আরও গভীর ও সুদৃঢ় করবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশ মহাপরির্দশক (আইজিপি) উভয়ই সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। একইসাথে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের দায়ভার বাহিনী নেবেনা বলে তারা উল্লেখ করেন।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর পুলিশ চেকপোষ্টে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান একজন পুলিশ সদস্যের গুলিতে নিহত হওয়ার অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত মর্মাহত এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ৪ আগস্ট থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এই ঘটনায় দুই বাহিনীর দীর্ঘদিনের পারস্পারিক সুসম্পর্কে চিড় ধরবেনা উল্লেখ করে আইএসপিআর এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , সুষ্ঠুতদন্ত এবং সুবিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে ও তদন্ত কার্যে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবেনা। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত পরিচালিত হবে এই মর্মে স্ব স্ব বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন তারা। # সূত্র : বাসস