দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
এবার আদালত কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো: লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
বুধবার (৫ আগস্ট) কক্সবাজারের আদালতে নিহত সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা মামলায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করেছেন। এর আগে গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যু হয়।
এদিকে পরোয়ানাভুক্ত ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১৭ জনকে প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় বুধবার টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকতসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে তা এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতের আদেশ মতে দায়ের করা মামলাটি বুধবার রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)।
জামিন অযোগ্য ধারায় রুজু হওয়া এ মামলায় এজাহারভুক্ত নয় আসামির মধ্যে ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকত ছাড়াও আরো আছেন এসআই নন্দলাল রক্ষিত, এসআই টুটুল, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল মো: মোস্তফা।
এ মামলায় সাবেক মেজর সিনহার সঙ্গী ও ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। # সূত্র : ইউএনবি