দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
বরগুনার পাথরঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় ৫জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের পশ্চিম তালুকের চরদুয়ানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে স্বপন (৫০), টিপু মিয়া (৪৮), টিপু মিয়ার ছেলে রাকিব (১৯), মৃত মোতাহার হাওলাদারের ছেলে আব্দুল হালিম (৫৫) ও আজিজুর রহমানের ছেলে শাহনেওয়াজ ফয়সাল (৪০)।
আহত আব্দুল হালিম, স্বপন ও শাহ নেওয়াজ ফয়সাল গণমাধ্যমকে জানান, ৭০ বছর আগে স্থানীয় এক হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে তাদের দাদা জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে ওই জমি তারা ভোগ-দখল করে আসছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম দফাদার ওই হিন্দুদের নামে একটি কাগজ তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করেন।
এ নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়, তাতে আমাদের পক্ষে রায়ও দেয়া হয়। পরে তারা আবার মামলা দায়ের করেন এবং সেই মামলায়ও বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন। আমরা উচ্ছেদ মামলায়ও রায় প্রাপ্ত হই, প্রতিপক্ষ আপিল করলে সেখানেও আমাদের পক্ষে স্থিতিঅবস্থা জারি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমরা আজ সকালে জমিতে চাষ করে ধানের চারা রোপণ করতে গেলে পিছন থেকে হঠাৎ করে আবুল বাশার মহুরী, ফজলু দফাদার, জাকির এমাদুল, দুলাল, আফাং ও কামাল ইসলামসহ প্রায় ৩০ জন লোক আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে আমাদের প্রায় আট থেকে দশ জন আহত হয়েছে। আহতদের কিছু লোককে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে বাকিদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম দফাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার ঘরে কারা যেন আগুন দিয়েছে এ খবর পেয়ে আমি বাড়িতে গিয়েছি। মারধরের মত কিছু দেখিনি।
পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানান, আহতদের মাথাসহ বিভিন্নস্থানে আঘাত রয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ পাঠানো হয়েছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সাইদ আহমেদ জানান, মারধরের একটি ঘটনার ঘটেছে। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। #