দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
চীন আবার তাইওয়ান দখলের হুমকি দিয়েছে। চীনা সেনার পদস্থ কর্মকর্তা কর্নেল রেন গুয়োকোয়াংয়ের। শুধু তাই নয়, বাধা দিলে ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকেও।
শনিবার বেজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন ওই সেনাকর্তা।
প্রসঙ্গ, সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের সামরিক চুক্তি করেছে তাইওয়ান। আর এতেই চটে গিয়ে চীনের এই হুমকি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
তাইওয়ানে মার্কিন সেনা মহড়ারও কড়া নিন্দা করেছেন ওই সেনাকর্তা। তার কথায়, এই ধরনের পদক্ষেপ ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে সেনা যে মার্কিন বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তা তাদের সাম্প্রতিক সেনা মহড়াতেই স্পষ্ট। গত জুলাইয়েই শক্তি প্রদর্শন করে তিন বাহিনীর ব্যাপক মহড়ার আয়োজন করে তাইওয়ান। মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন ৮ হাজার সেনা সদস্য। দেখা যায় এফ-১৬ এবং দেশীয় চিং-কুও’র মতো বায়ুসেনার বিমানও।
স্বাধীনতার কথা ভুলে যান, শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের সঙ্গে জুড়ে যান! গতবছর তাইওয়ানকে এই বার্তা দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এমনকী মুখে শান্তির কথা বললেও, প্রয়োজনে সামরিক বাহিনীও নামানো হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক চীনের ‘ঘরোয়া রাজনীতির’ বিষয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তাই এক্ষেত্রে কোনও বিদেশি পক্ষের হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।
এদিকে, চলতি বছরের শুরুতেই ফের তাইওয়ানের ক্ষমতায় আসেন সাই ইং-ওয়েন। পুনরায় ক্ষমতা দখলের পরই প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘চীনের কাছে মাথা নত করবে না তাইওয়ান।’
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন অঞ্চল বলেই মনে করে। যদিও তারা চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেনি। বেইজিং বরং বরাবরই মনে করে, তাইওয়ান চীনের অংশ। # সূত্র- এই সময়