দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনায় বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আরো ২২ জনের মৃত্যূ এবং নতুন করে ৮৮৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রোববার (২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৫৪ জনে।
করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩ হাজার ২১৩টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ৩ হাজার ৬৮৪টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৫টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪.০৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০.২৪ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩১ শতাংশ।গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ এবং নারী পাঁচজন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৬৭৯ এবং নারী ৬৭৫ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জন। সুস্থতার হার ৫৬.৮৪ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল ২১ জন। এ সময় শনাক্ত হয়েছিল দুই হাজার ১৯৯ জন।
করোনার প্রকোপ দীর্ঘমেয়াদি হবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরেই চলবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) শনিবার হুঁশিয়ার করে এ কথা বলেছে।
আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারির ছয়মাস পরে সংকট পূনর্মূল্যায়নে সংস্থার জরুরি কমিটির বৈঠকের পর ডব্লিওএইচও এ কথা বলেছে।
সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমিটি কোভিড-১৯ মহামারির সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
করোনা সংকট শুরুর পর কমিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বৈঠকে বসে। গত ৩০ জানুয়ারি ডব্লিওএইচও তার সর্বোচ্চ সতর্কতা মাত্রা পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন(পিএইচইআইসি) ঘোষণা করে। এ ঘোষণার ছয়মাস পর জরুরি কমিটি শুক্রবার পরিস্থিতি পুনর্মূল্যয়ানে বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর কমিটি বলছে, কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক ঝুঁকির স্তর অনেক বেশি হবে।
সংস্থা প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, মহামারি করোনার প্রভাব হবে দীর্ঘমেয়াদি।
তিনি বলেন, ছয় মাস আগে যখন পিএইচইআইসি ঘোষণা করি তখন বিশ্বজুড়ে করোনায় সংক্রমিত লোকের সংখ্যা ১ শ’রও কম ছিল এবং চীনের বাইরে কোনো লোক মারা যায়নি। এখন এটি শতাব্দীর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট। এর প্রভাব দশকের পর দশক ধরে চলবে।
এ প্রেক্ষিতে সংস্থাটি বৈশ্বিক সংহতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্বে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে অন্তত এক কোটি ৭৬ লাখ লোক। মারা গেছে অন্তত ছয় লাখ ৮০ হাজার লোক। # কাশেম