দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সারা দেশে শুরু হয়েছে করোনার ভয়াবহ থাবা আর বন্যায় পানিবন্দি দুর্গত অসহায় মানুষের হাহাকার আর কান্না । কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এসব শোনার যেন কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ।
তারা বলেছেন, করোনা আর বন্যায় মৃত্যু আর নিরন্ন মানুষের মিছিলে সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন মুখ থুবরে পড়ছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
তারা দেশে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দা, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অববাহিকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৩৪টি নদী প্লাবিত হয়েছে।
সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে রংপুর বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের প্রায় সব জেলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ জেলা ইতোমধ্যেই বন্যা কবলিত হয়েছে। অধিকাংশ নদীতেই পানি বাড়ছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষ অসহায় অবস্থায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায়-বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে কালাতিপাত করছে। শাসকগোষ্টি একেবারেই উদাসীন। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই বন্যা জনজীবনে ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা ও বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষকে বাঁচাতে প্রয়োজন সরকারের কার্যকরি উদ্যোগ। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য জনগন তা লক্ষ্য করছে না। বরং সরকারের মন্ত্রীরা করোনা মোকাবেলার মত বন্যা মোকাবেলায় লিপসার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। ফলে জনগণের চরম দুর্দিনেও সরকার অসহায় ও দিশেহারা। এ অবস্থার দ্রæত অবসানের কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
তারা আরো বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের অবস্থাও নাজুক। প্রতিদিন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। ঘরভাড়া আর আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে না পেরে গ্রামের দিকে ছুটছে অনেকে।
অন্যদিকে বাধ্য হয়েই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ। তাতে করোনা সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইউএনডিপি বাংলাদেশের মানুষকে নগদ সহায়তা দেওয়া জরুরি বলে মত দিয়েছে। তাদের মতে বাংলাদেশের ৬ কোটি ৫৩ লাখের বেশি গরিব মানুষের নগদ সহায়তা দরকার; যা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশের কিছুটা বেশি।
নেতৃদ্বয় বন্যার্তদের আশ্রয় ও সহযোগিতা প্রদান এবং ফি প্রত্যাহার করে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানান। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি।