দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে চীনের সরকার। যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনে চীনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশের পর চীন পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চেংডুতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছে, চীনের চেংডু দূতাবাস বন্ধ করার নির্দেশ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বৈধ ও প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া।
তিনি তার বিবৃতিতে আরো বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি চীনের কাম্য নয়। এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দায়ী।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা আবারো যুক্তরাষ্ট্রকে তাৎক্ষণিকভাবে তার ভুল সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছি।
মার্কিনীদের দূতাবাস খালি করার সঠিক সময় এখনো জানানো হয়নি। তবে কমিউনিস্ট পার্টির মালিকানাধীন গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার সম্পাদক হু জিজিন তার টুইটার বার্তায় লিখেছেন, নোটিশের সময়কাল ৭২ ঘন্টা দেয়া হয়েছে। এর অর্থ আগামী সোমবার সকালে মার্কিন চেংডু দূতাবাসটি বন্ধ করা হবে।
‘ইট মাড়লে পাটকেল মাড়ার’ এই নাটকীয় আচরণ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশের মধ্যে উত্তেজনার তীব্রতা বাড়িয়ে চলেছে।
গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন বেইজিংকে টেক্সাসের হিউস্টনে তাদের দূতাবাস বন্ধের জন্য ৭২ ঘন্টা সময় দিয়েছিল। এছাড়াও চীনের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ সম্পত্তি চুরি ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিকে চীন আক্রোশপূর্ণ অপবাদ বলে অভিহিত করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে শুরু করে বেইজিংয়ের বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং দক্ষিণ চীন সাগরে হংকং ও এর সুদূর পশ্চিম জিনজিয়াংয়ের অঞ্চলের দাবিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক অবনতি হয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক ক্যাটরিনা ইউ এ ঘটনাকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চেংডু দূতাবাসে প্রায় ৫০০ কর্মচারী কাজ করছেন। যার মধ্যে প্রায় ৫০ জন মার্কিন কর্মকর্তা রয়েছেন। তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ের মতো ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ দূতাবাসকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। # সূত্রঃ আল জাজিরা