দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা, যমুনা, সুরমা, সারিগোয়াইন, যদুকাটা ও গুড় নদীর সাতটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, নাটোর, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এমন অবস্তায় করোনা মোকাবেলার মত কথা মালা নয়, বন্যা মোকাবেলায় দেশবাসী সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
বুধবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হলো সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে দুর্ভোগ মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। বলার অপেক্ষা রাখে না, নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার অর্থ হলো মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাওয়া।
নেতৃদ্বয় বলেন, একদিকে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের মধ্যে মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। নানা ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সচেতন থাকার বিষয়টি বারবার বলা হচ্ছে। আবার এর মধ্যে যদি মানুষ হঠাৎ এই বন্যা পরিস্থিতিতে পড়ে তবে তা কতটা আশঙ্কাজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চরম বিপাকে পড়ার খবর উঠে আসছে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী আর শিশুদের।
এ ছাড়া অব্যাহত বন্যায় ডুবে গিয়েছিল উঠতি ফসল বাদাম ও ভুট্টাসহ নানান জাতের সবজি। এসব এলাকায় শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক উদ্যোগ জারি রাখার বিকল্প নেই।
তারা আরো বলেন, যখন বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কার বিষয় উঠে আসছে, তখন মানুষের দুর্ভোগ ও সার্বিক চিত্র আমলে নিতে হবে। করোনা মোকাবেলার মত কথা মালা আর দেশবাসী শুনতে চায় না। তারা চায় বাচতে, সুস্থ থাকতে। সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সকল ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করুক ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত হোক এমটাই প্রত্যাশা দেশবাসীর। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।