সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

‘প্রতিবছর ভারতীয় ও মায়ানমারের গরু- মহিষ আমদানীতেই ৬০ হাজার কোটি টাকা যাচ্ছে’

দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক:
প্রতিবছর শুধু ভারতীয় ও মায়ানমারের গরু ও মহিষ আমদানীতেই চলে যাচ্ছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। ভারত মায়ানমার গরু পাচার করে প্রতি বছর ৬০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশি মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে বলেছেন মাংষ ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা।

দেশের স্বার্থে ভারত ও মায়ানমার থেকে গরু- মহিষ আমদানী বন্ধ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশু পালনে সহায়তার পাশাপাশি ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তারা।

শানিবার (১১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়শনে (ক্র্যাব) কার্যালয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।

৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ভারত ও মায়ানমারের গরু, মহিষ এবং মাংস আমদানি নিষিদ্ধ করা। চামড়া শিল্পের সিইটিপি, রপ্তানীর জন্য ছাড়পত্র প্রদান। ডিএনসিসির সহযোগতায় ইজারাদারের মাধ্যমে রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটের অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ করা। দেশের সব মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা। কোরবানী পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ, মহাসচিব রবিউল আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক শামিম আহম্মেদ কোরেশী, বাংলাদেশ পশুর বর্জ্য সংগ্রহকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহম্মেদ, বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০ হাজার কোটি টাকা কৃষককে কৃষি ঋণের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে চরঞ্চল গুলো পশু পালনের আওতায় আনতে পারলে মাংসের ও কোরবানী পশুর চাহিদা পুরন করেও বিদেশে মাংস, হাড়, শিং, নাড়ী, ভুড়ি, চামড়া রপ্তানী করে ৬০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো।

আস্তে আস্তে চরঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল গুলো পশু পালনের আওতায় আনতে পারলে বিশ্বকে আমরা সুস্বাধু মাংস উপহার দিতে পারবো। ইতি মধ্যে স্বর্ণচরে আমাদের গর্বিত সেনাবাহিনী পশু পালন প্রকল্প শুরু করে দিয়েছে। দেশে অনেক গরু ও মহিষের খামার গড়ে উঠেছে। ভারত, মায়ানমার পশু পাচার বন্ধ করতে না পারলে, দেশিও পশু পালন উন্নয়ন ও সিমান্ত হত্যা বন্ধ করা যাবে না।

সরকার, শিল্পপতি ব্যবসায়ী, সমাজে প্রতিষ্ঠিতরা যাকাতে অর্থ থেকে গরিব, কৃষক, বিধবা, বেকার যুব সমাজে মাঝে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার বাচ্চা উপহার দিয়ে পশু পালনে উৎসাহিত করতে পারি। বিশ্বকে তাক লাখিয়ে (৩০০) টাকায় মাংস খাবো।

(২) চামড়া শিল্প উন্নয়ন ও রপ্তানীর প্রধান প্রতিবন্দকতা বর্জ্য ও পানি শোধনাগার সিইটিপি পরিপূর্ণ কমপ্লিট করতে হবে। রপ্তানী স্বচল না হলে সরকারের শত শত কোটি টাকা ব্যায়ে চামড়া শিল্প নগরি উন্নয়নের সফলতা আমরা ভোগ করতে পারবোনা।

(৩) মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষন, মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে দিতে হবে। মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষন হাতে কলমে দিতে পারলে।রপ্তানী যোগ্য শত শত কোটি টাকার পশুর বর্জ্য রক্ষা করা যাবে জবাই খানা বৃত্তিক দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষনশালা গঠন করতে হবে, প্রশিক্ষনের সু- ফল পেতে।

(৪) কোরবানীর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে জাতিকে অবহিত করার লক্ষ্যে। দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। ইতিমধ্যে প্রতি বছর মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। চলতি বছর করোনার অজুহাতে যেন বন্ধ না হয়।

(৫) পশু পালন উন্নয়ন ও মাংসের মুল্যবৃদ্ধির কারন পশুর হাটের খাজনা, ইজারাদারের মাস্তান বাহিনীর অত্যাচার। সরকার নির্ধারিত শতকরা ৫ টাকা খাজনা দিয়ে কৃষক পশু পালনে উৎসাহিত হবে না, একটি গরুতে ৫ (পাঁচ হাজার) টাকা খাজনা দিয়ে কৃষক লাভবান হতে অনেক সময় লাগবে।

৫ (পাঁচ হাজার) টাকা খাজনা দিয়ে মাংস ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম কমাতে পারবেনা, তার উপর একটি গরু তিনবার বিক্রি হলে ১৫(পনের হাজার) টাকা খাজনা দিতে হবে। ইজারাদারের অতিরিক্ত খাজনা আদায়তো আছেই। গরুর হাটের জন্য আইন আছে ইজারার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালত, ভোক্তা অধিকার স্থানীয় সরকার ও সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ আজ পর্যন্ত কোন অনিয়মের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। সু-দীর্ঘ আন্দোলনে আপনারাই আমাদের সাক্ষী ছিলেন এবং আছেন।

গরুর হাটের সরকার (ইজারাদারের) নিজস্ব আইন চলে চলছে, মাথায়বারী দিয়ে টাকা আদায় করবে, না পকেট কেটে নির্ধারন করবে ইজারাদারের ইচ্ছার উপর নির্ভর। শত শত অভিযোগ করে ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা কর্মকার্তাদের কাছ থেকে কোন আইনগত সহায়তা পাওয়া যায় নাই।

তার উপর কোরবানীর পশু হাট গুলো মাত্র তিন দিনের জন্য, জন নিরাপত্তার নামে আইনশৃংখলা বাহিনী গরু হাটের ইজারাদারের অবৈধ অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। অত্যাচারিত হওয়া, অতিরিক্ত খাজনা দিয়ে ভোক্তা বিচারের আশা করেন না দীর্ঘ সূত্রতার জন্য।

কোরবানীর হাটের জন্য পুলিশ, র‌্যাব, ভ্রাম্যমান আদালত ও ভোক্তা অধিকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয় নাই, গরুর হাটের ইজারাদারকে জবাব দিহিতায় আনার জন্য একমাত্র সম্পতি বিভাগের। টাকার বিনিময় অথবা ভয়ে হউক, স্বাধীনতার ৫০ বছরে একটি গরু হাটের ইজারাদারকে জবাব দিহিতায় আনা হয় নাই। ৪৫ বছরের ইতিহাসে চলতি বছর রমজানে মাংসের মুল্য নিধারন করা যায় নাই, মেয়র গনের অসহযোগিতা ও গরুর হাটের ইজারাদারে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের জন্য।

ঢাকার তিন পাশে গাবতলীতে আছে, মেরাদিয়া, খিলক্ষেত অথবা বেড়াইত, উত্তর সিটি কর্পোরেশন একটি গরু হাট করতে পারেন। দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যে লালবাগ ও ডেমরায় স্থায়ী গরুর হাট করতে প্রস্তাব গ্রহন করা হয়েছে, বাস্তবায়ন করতে পারলে কোরবানীর জন্য অস্থায়ী গরু হাটের প্রয়োজন হবে না। যানজন থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবে ঢাকা। বিস্তারিত প্রশ্ন উত্তর পর্বে দেওয়া হবে। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12