দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনায় রাজধানীর ওয়ারীতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেই অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, সোমবার থেকে আরো কঠোর নজরদারি চলবে। গত ৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের লকডাউন চলবে ওয়ারীতে।
রোববার (৫ জুলাই) ওয়ারীতে লকডাউন এলাকার প্রত্যেকটি প্রবেশপথ বন্ধ রয়েছে। জরুরি চলাচলের জন্য হট কেক গলি এবং ওয়ারী থানার পাশে র্যানকিন স্ট্রিট খুলে রাখা হয়েছে। এই দুই গেট দিয়ে মানুষ ভেতরে প্রবেশ করছে এবং বাইরে বের হচ্ছে। ওষুধের দোকান, সুপার শপ, হাসপাতাল খোলা রয়েছে। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করছেন।
ওই এলাকায় তিনটি হাসপাতালের রোগীসহ স্বজনরা গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন। তবে রোগীর সঙ্গে দুজনের বেশি কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক গৃহকর্মী বাইরে থেকে এসে বাসায় কাজ করেন। তাদের অনেককে দেখা গেছে বাসায় কাজ করার জন্য তারা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে অনুমতি চাইছেন।
গৃহকর্মী হামিদা বেগম বলেন, স্বামীর একার আয়ে সংসার চলে না। বাধ্য হয়েই বিভিন্ন বাসায় বাসায় কাজ করি। কাজ না করলে বেতন দেবে না। বেতন না দিলে খাবো কী। মালিক আসার ব্যাপারে কিছু বলেছে কী না জানতে চাইলে বলেন, তারা কিছু বলেনি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তা মো. সাঈদ বলেন, মাইকিং করে এলাকার বাসিন্দাদের অপ্রয়োজনে বাসার বাইরে বের না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবক সাঈদ বলেন, গতকাল থেকেই কোনও গৃহকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আজ কিছুটা ছাড় দেওয়া হলেও আগামীকাল থেকে আমরা আরও কঠোর হবো।
স্বেচ্ছাসেবক মো. সিয়াম বলেন, ভেতরে শিশু হাসপাতালসহ তিনটি হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে রোগী আসা যাওয়া করছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নতুন রোগী ভর্তি না করার অনুরোধ করা হয়েছে। যারা ভর্তি আছেন তারা আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছেন।
ভেতরে প্যাসিফিক, লাজফার্মাসহ বিভিন্ন ফার্মেসি রয়েছে। সেখান কর্মচারীদের খাতায় নাম লিখে ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার লোকজনের খাবারের বিষয়টি খেয়াল রেখে, মীনা বাজার, ফুড পান্ডা আর স্বপ্ন এর কর্মচারীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওয়ারীর টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ওজয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন (আউটার রোড) এবং লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিট (ইনার রোড) লকডাউনের আওতায় রয়েছে। #