দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
হংকংয়ে নিরাপত্তা আইন ভাঙলে যাবজ্জীবন শাজা কার্যকর করবে চীনা সরকার। এই আইনে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
কঠোর সমালোচনা ও বিরোধিতা উপেক্ষা করে হংকংয়ের জন্য নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস করে চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপল’স অব কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটি। বিশেষ কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে মঙ্গলবার চূড়ান্তভাবে আইনটি পাস হয়। গত মাসে বিলটির পক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্টের সদস্যরা।
পাস হওয়ার পর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকালই আইনটিতে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে আইনটি কার্যকর হয়।
আইনের প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হলে বিচারে অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
নতুন আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকার পতন, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাতমূলক যেকোনো কাজ শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
হংকংয়ের আইনসভাকে পাশ কাটিয়ে যেকোনো নিরাপত্তাসংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এ আইনে।
আইন কার্যকর হওয়ায় চীনের নিরাপত্তা বাহিনী হংকংয়ে প্রকাশ্যে কার্যালয় খুলতে পারবে। যা তারা আগে পারত না। এই কার্যালয় জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখবে। তারা হংকং নয়, বরং চীনা আইন অনুযায়ী কাজ করবে।
গণতন্ত্রপন্থীরা বলছেন, এই আইন হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার ঘোরবিরোধী। চীনের এই পদক্ষেপ হংকংকে নতুন করে অশান্ত করে তুলবে।
হংকং চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। আগে অঞ্চলটি যুক্তরাজ্যের একটি উপনিবেশ ছিল। ১৯৯৭ সালে চুক্তির মাধ্যমে হংকংকে চীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই চুক্তিতে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।
চুক্তি অনুসারে হংকংয়ে আলাদা বিচার বিভাগ, আইনসভা ও নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, হংকং এক দেশ, দুই পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছিল। নতুন আইনে সেই মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। #