দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধের চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনলো বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০জে পরিবহন বিমান। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাতে এসব সামগ্রী দেশে আনা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্র জানায়, বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এয়ার কমডোর কাজী সফিকুল হাসানের উদ্যোগে দেশটির কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া বিভিন্ন চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী আনা হয়।
এসব স্বাস্থ্যসেবা সহায়ক সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য বুধবার (১৭ জুন) সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৫ জন এয়ার ক্রু পরিবহন বিমান নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু (ঢাকা) ত্যাগ করে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর সৈয়দ সাইদুর রহমান এতে দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সংক্রান্ত আইএসপিআর-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার প্রকাশিত নীতিমালা অনুসরণ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখার উদ্যোগে ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহযোগিতায় কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের প্রয়োজনীয় কিট, মাস্ক, নেগেটিভ প্রেশার মেশিন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাকসহ (পিপিই) অন্যান্য চিকিত্সা সহায়ক সামগ্রী সংগ্রহের পরিকল্পনা নেয়।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এসব চিকিৎসা সহায়ক সামগ্রী দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে এনেছে।
আইএসপিআর বলছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব রোধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অকৃত্রিম সহায়তার জন্য দেশটির সরকার বন্ধুত্বের এক অপূর্ব নিদর্শন স্থাপন করেছে। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
এদিকে, বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু শুভেচ্ছা সামগ্রী বিমান বাহিনীর ওই পরিবহন বিমানের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়। # কাশেম