দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
নারায়নগঞ্জে খাবার চাওয়ায় বৃদ্ধা মা হোসনে আরাকে (৭০) পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে মোফাজ্জলের বিরুদ্ধে। আরো অভিযোগ উঠেছে, কোটি টাকার সম্পত্তি নিজ নামে লিখে নেয়ার পর থেকে মায়ের উপর এ রকম নির্যাতন শুরু করেছে ওই ছেলে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামগড় ইউনিয়নের সেনেরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছেলেদের হাতে রক্তাক্ত বৃদ্ধা হোসনে আরা জানান, তার স্বামী মৃত সোনা মিয়া এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার ছিলেন। জমিজমার অভাব ছিলো না। বন্দর ধামগড় ইউপি সদস্য ছিলেন তিনি।
স্বামী জীবিতকালে স্ত্রী হোসনে আরার নামে যে সম্পত্তি লিখে দিয়ে গেছেন তার মূল্য বর্তমানে কোটি টাকা। পৈত্রিক সম্পত্তি পাওয়ার পরও বৃদ্ধার নামে থাকা কোটি টাকার সম্পত্তি তার দুই সন্তান হাজী মঞ্জু মিয়া (স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি) ও মোফাজ্জল হোসেন জোরপূর্বক লিখে নেন। সম্প্রতি ছেলেরা মায়ের ভরণপোষণ বন্ধ করে দেন।
বৃদ্ধা হোসনে আরা আরো বলেন, খাবারের কষ্ট আর অভাবের তাড়নায় আমি স্থানীয় মেম্বারের কাছে ত্রাণ চাইতে গেলে মেম্বার আইয়ুব আলী ছেলেদের ডেকে ত্রাণের তালিকায় আমার নাম দিতে বললেও তারা দেয়নি। উল্টো আমি খাবার চাইলে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এখন আমি বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।
স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আইয়ুব আলী বলেন, বৃদ্ধা আমার কাছে এসেছিলো ত্রাণের জন্য। তখন তার ছেলেদের ওই এলাকার ত্রাণ লিস্টে ওনার নাম দিতে বলেছিলাম। ছেলেরা দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, বৃদ্ধা মাকে রক্তাক্ত জখম করার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এটা করে থাকলে খুবই নিন্দনীয় কাজ বলে মনে করি।
স্থানীয় কামতাল তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। তবে আমি খোঁজ নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধার ছেলে মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তার মেয়ে জেনিফা আক্তার ফোন ধরে বলেন, বাবা ফোন রেখে বাইরে গেছেন। তিনি জানান, আমি শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে শুনেছি দাদির মাথা ফেটে গেছে। বাবার (মোফাজ্জল) সাথে নাকি ঝগড়া হয়েছে।# কাশেম