দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকার উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জে বেড়েই চলছে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বুধবার (৩ জুন) পর্যন্ত কেরানীগঞ্জে ৫১৩ জনে করোনায় আক্রান্ত । এ পর্যন্ত মারা গেছে ২১ জন; সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২০ জন। বর্তমানে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৪০ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত উপজেলায় ১ হাজার ৪০০ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল প্রথম কেরানীগঞ্জে করোনা ‘পজিটিভ’ রোগী পাওয়া যায়। ওই দিন কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকার এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের জীবানু শনাক্ত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের মানুষ করোনা সম্পর্কে সচেতনতা কম। তাই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২১ জন, সব মিলিয়ে কেরানীগঞ্জে অর্ধশতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ৮০টা করে পরীক্ষা করছি। পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ালে রোগীও বেশি শনাক্ত হবে।’
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানান, ‘উপজেলাবাসীকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের জন্য বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে। এরপরও মানুষজনের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না।
ফলে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি কার্যকরভাবে নজরদারি করছে। পুরো দেশ ‘রেড’, ‘ইয়েলো’ ও ‘গ্রিন’ জোনে ভাগ করা হচ্ছে। কেরানীগঞ্জকে যে জোনে আওতায় ফেলা হবে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। # কাশেম