দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
গত সেপ্টেম্বর মাসে পানির মূল্য ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। মাত্র ৭ মাস পর ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে পানির মূল্য আবাসিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক পর্যায়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলো। ওয়াসার পানির বিল দফায় দফায় বৃদ্ধি, জনস্বার্থ বিরোধী । পানির বিল বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে পানির বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
মঙ্গলবার (২ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।
তারা বলেন, করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যে মানুষের আয় যখন কমে গেছে, তখন এ পানির বিল বৃদ্ধি অমানবিক ও জুলুম। করোনাভাইরাসের মধ্যে পানির বিল বাড়ানো মোটেও যুক্তিযুক্ত হয়নি।
নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। এতে তরল জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুতের উৎপাদনব্যয় কমে গেছে। প্রাকৃতিক উৎস ওয়াসার পানি উত্তোলন করতে প্রয়োজন হয় বিদ্যুতের। ওয়াসার যদি লোকসান হয়ই তাহলে তারা সরকারের কাছে বিদ্যুতের মূল্য কমানোর আবেদন করতে পারত।
তা না করে দেশের এ দুঃসময়ে জনগণের ঘাড়ে বাড়তি বিল চাপানো মোটেও ঠিক হয়নি। এ সময়ে প্রয়োজনে পানির মূল্যবৃদ্ধির মত অসাধু ব্যবসার মানসিকতা থেকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বের হয়ে আসা উচিত।
তারা বলেন, পানির মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের জীবনযাপনের খরচ আরো বৃদ্ধি পেলো। জীবনযাত্রার ব্যয় যে হারে বাড়ছে; ওই অনুপাতে আয় না বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। পারিবারিক ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নগরবাসীকে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি দিতে পরিপূর্ণ ব্যর্থ ঢাকা ওয়াসা পানির মূল্যবৃদ্ধি সম্পূর্ণ অনৈতিক ও জনবিরোধী। জনগনের চাহিদা মোতাবেক বিশুদ্ধ পানি প্রদানে ব্যর্থ ঢাকা ওয়াসা ওয়াসা গত আট মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পানির মুল্যবৃদ্ধি করে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছে।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানি পান করা যায় না। অন্যদিকে বহুস্থানে পানির পাম্পের সীমানার ভেতরেই একটি সংস্থার বিশুদ্ধ পানি বিক্রি হয়। কার্ড বানিয়ে আলাদা দামে সেই পানি কিনতে হয়। ওয়াসার পানির বিলের বাইরেই গ্রাহকদের এই টাকা গুনতে হয়।
অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাট মালিকরা ওয়াসার সরবরাহ করা পানির উপর নির্ভর করতে পারে না। এই ক্ষেত্রে প্রায় পরিবারকে আলাদাভাবে পানি ক্রয় করে পান করতে হলেও ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসেই বিল ঠিকই দিতে হয়। যা অন্যায় ও অনৈতিক।
তারা বলেন, পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ ও সেবার মান না বাড়িয়ে ইচ্ছে মত পানির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে ওয়াসা, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি দলের টেন্ডারবাজদের কারণে ওয়াসার কাজ বিলম্বিত কাজের ব্যয় পাঁচ থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়, যা জনগণের পকেট থেকে আদায় করা হচ্ছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।