দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
কোভিড-১৯ উদ্ভূত সঙ্কটের মধ্যে বাস-মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কম যাত্রী নিয়ে বাস-মিনিবাস পরিচালনার জন্য মালিকদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি জনগণের ওপর না চাপিয়ে সরকারি প্রণোদনার আওতার্ভুক্ত করারও দাবি জানিয়েছে সিসিএস।
রোববার (৩১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ এ দাবি জানিয়ে বলেন, কোভিড-১৯ এর মধ্যে সাধারণ মানুষের উপার্জন কমেছে। লাখ লাখ মানুষ কর্ম ও আয়হীন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চালডালসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে।
বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের খড়গও সইতে হচ্ছে জনসাধারণকে। ইতিমধ্যে বহু বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া বৃদ্ধির যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা জনসাধারণের ওপর মারাত্মক জুলুম ও অবিচারের সামিল।
পলাশ মাহমুদ বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাস-মিনিবাস পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবহন মালিকদের ন্যয়সঙ্গত স্বার্থ সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের। পরিবহন মালিকরা যেন ক্ষতির মুখে পড়ে সেজন্য বিকল্প হিসেবে বিষয়টিকে সরকারের প্রণোদনার আওতাভুক্ত করা যেতে পারে।
কিন্তু বিকল্প কোনো উপায় না খুঁজে বিআরটিএ’র ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি সরাসরি জনস্বার্থবিরোধী সুপারিশ করেছে। ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটির ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির সুপারিশের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি বাস মালিকদের অনৈতিক স্বার্থ রক্ষার তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে।
সিসিএস বলছে, বিআরটিএ এর ১১ সদস্য বিশিষ্ট ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটিতে উল্লেখ করার মতো কোনো যাত্রী বা ভোক্তা প্রতিনিধি নেই। অপর পক্ষে কমিটির প্রায় অর্ধেক সদস্য বাস মালিক। শনিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত সভায়ও যাত্রী বা ভোক্তার উল্লেখ করার মতো কোনো প্রতিনিধির অংশগ্রহণ ছিল না। এ ধরনের একটি সভা করে এক তরফাভাবে জনগণের ওপর ভাড়ার বোঝা চাপিয়ে দেয়া সম্পূর্ণ জনস্বার্থবিরোধী। এহেন জনস্বার্থবিরোধী কমিটি অবিলম্বে পুনর্গঠন করার দাবি জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে ট্রেন ও নৌ-পথে যাত্রী পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি না করায় রেল পথ মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছে সিসিএস। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।