দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, প্রাণঘাতি করোনার মধ্যে সবকিছু খুলে দিলে অবস্থা আরো খারাপ হবে । কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই সাধারণ ছুটি প্রত্যাহার করে ৩১ মে থেকে অফিস ও গণপরিবহন চালুর সরকারি সিদ্ধান্তকে বড় ভুল বলেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ মে ) ড. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি এই সিদ্ধান্তে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়বে। এটা মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫৯ জনের। এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ৩৭১ জন।
তিনি বলেন, শুরুতে তো দেশে করোনাভাইরাসকে কোনো গুরুত্বই দেয়া হয়নি। তখন বলা হয়েছে না না এটা কিছু না। তারপর লকডাউন দেয়া হল। সেটাও ঠিকমত পালিত হয়নি।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, এখন যদি সবকিছু খুলে দেয়া হয় তাহলে তো অবস্থা আরও খারাপ হবে। আমাদের দেশে এখন যে হারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এর মধ্যে সব খুলে দেয়া তো ভুল হবে।
করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ দিযে তিনি বলেন, সারাদেশে করোনা পরীক্ষাও সেভাবে হচ্ছে না। করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা যদি আরও করা যেত, তাহলে আক্রান্তের হার আরও বেড়ে যেত।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রুখতে চলমান সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চলবে। এ সময়ে সীমিত পরিসরে গণপরিবহনও চলবে।
শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান, রেল চলাচল করতে পারবে। অর্ধেক টিকিট বিক্রি করে ট্রেন চলাচল চালু করা হবে। বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয় বিবেচনা করবে।
তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃপক্ষ জারিকৃত নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
এই নিষেধাজ্ঞাকালে সব প্রকার সভা-সমাবেশ, গণ জমায়েত ও অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে। এই সময়ে মানতে হবে ১৩ দফা স্বাস্থ্যবিধি।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। #