দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
করোনায় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের নীলকান্ত সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আল মামুন (৪৮), ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনি স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুবিধার্থে তার স্ত্রী সাভারে থাকতেন বলে জানা যায়।
অধ্যাপক আল মামুনের বাড়ি নাটোরের লালপুর থানার চক মশুরিয়া গ্রামে। তিনি স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুবিধার্থে তার স্ত্রী সাভারে থাকতেন। করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকায় আল মামুন সাভারের বাসায় ছিলেন।
গত ২৪ মে করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। ২৫ মে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার একপর্যায়ে তিনি মারা যান। তাঁকে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগে ১৯৯০–৯১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন, ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেন, এরপর শুরু করেন শিক্ষকতা। ১৯৯০–১৯৯১ ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আল মামুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ওই ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ, নুরুল আমিন, বিষ্ণুপদ সরকার, ডিএম মোর্শেদ, মিজানুর রহমান, বেগম সেলিনা, হাবিবা আক্তার, আবু তাহের, রিনা বিশ্বাস, সুলতান মাহমুদ খান প্রমুখ শোক প্রকাশ করেছেন। শোক বিবৃতিতে সহপাঠীরা বলেন, আল মামুন সততা ও নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার দেশে–বিদেশে অবস্থানরত আল মামুনের সহপাঠীরা তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো ও সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেটাফিজিয়ানস ৯৪’ গ্রুপে ব্যাংক হিসাব ও বিকাশ নম্বর দিয়ে সহপাঠীরা তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের উপ সচিব ও আল মামুনের সহপাঠী আবুল কালাম আজাদ বুধবার গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
আরেক সহপাঠী নূরুল আমিন বলেন, আল মামুনের তিন সন্তান লেখাপড়া করে। উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই, পরিবারটির সঞ্চয় বলতে তেমন কিছু নেই। এ জন্য সহপাঠীরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। #