দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বিপ্লবী কৃষক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতমনেতা কৃষকনেতা খলিলুর রহমান বলেছেন বর্তমান ইরি বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ কোটি ২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন। অথচ সরকার ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মাত্র ৮ লক্ষ মেট্রিকটন। এই সামান্য পরিমাণ ধান ক্রয় করে কৃষি ও কৃষককে যেমন রক্ষা করা সম্ভব নয় তেমনি আসন্ন খাদ্য সংকট মোকাবেলায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখবে না।
শুক্রবার (১৫ মে) বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের বেলাবো উপজেলা কমিটির সভাপতি আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মনববন্ধনে কৃষকনেতা খলিলুর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বিশ্বের খাদ্য রপ্তানিকারক দেশগুলি চলমান করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্যরপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় খাদ্য মজুদের দিকেই নজর দিচ্ছে। কিন্তু সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে তাতে করে চালের পুরো বাজার চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাবে।
খলিলুর রহমান বলেন ইতোমধ্যে হাওরসহ বিভিন্ন এলাকায় একদিকে ধান কাটা শুরু হয়েছে, অন্যদিকে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিরর কারণে কৃষকেরা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই সরকারি উদ্যোগে হাটে হাটে, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ধান ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাড়তি খাদ্য গুদামজাত ও সংরক্ষণের ব্যাপারে তিনি বলেন সরকারি খাদ্য গুদামের পাশাপাশি বেসরকারি গুদামভাড়া করাসহ কৃষকদের কাছেই ধান রেখে সে ধানের মূল্য পরিশোধ করার মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকট মোকাবিলা ও ধানচাষীদের রক্ষার ব্যবস্থা করা যাইতে পারে।
বেলাবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে শাররীক দুরত্ব বজায় রেখে আজ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষক সংহতি ও ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করার পূর্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ স¤পাদক ডাঃ খন্দকার মোসলেহ উদ্দিন, কৃষকনেতা নজরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, বাচ্চু মিয়া, খলিল মিয়া, শাহ জাহান, আক্তার হোসেন, খাদিজা বেগম, নজরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, রিপন, তাজরীন প্রমুখ। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।