দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
করোনা পরিস্থিতিতেও নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে হাজার হাজার মানুষের ঢল মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া ফেরিঘাটে। দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষের ঢল ভাল লক্ষণ নয়। এসব লোকজনের করোনার ভয় বলতে কিছুই নেই।
শুক্রবার (১৫ মে) সকাল থেকেই মাওয়া ফেরিঘাট থেকে পদ্মা নদীর পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট দিয়ে হাজার হাজার তাদের গন্তেবে যাচ্ছেন। সাথে বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গগামী ছোট গাড়ির চাপও।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে যানা যায়, শিমুলিয়া ঘাট থেকে চন্দ্রের বাড়ির কাছ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার লাইন পড়ে গেছে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় থাকা ছোট গাড়ির। শত শত লোক এভাবে ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হওয়ায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা থেকেই গেলো।
আবার যাদের একটু করোনায় ভয় আছে, তারা গাদাগাদিতে না গিয়ে দূরে ঘাটের পাশে দাঁড়িয়ে দেখছে ঘাটের অবস্থা। কী করবে, এভাবে গাদাগাদী করে ফেরিতে যাবে, না একটু হালকা হলে তার পর ফেরিতে উঠবে। করোনা ভয়ে এমনই চিন্তা-ভাবনায় পড়ছে লোকগুলো। আবার যারা দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে আসছে তারাও পড়েছে মহাবিপাকে। পন্টুনে অপেক্ষমান লোকজনকে ঠেলে গাড়ি ও ফেরি যাত্রীরা উপরের দিকে উঠতে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে যাত্রীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা, মোটরসাইকেল ও উবারের অফলাইনের গাড়িতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আর শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ, সিবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পার হচ্ছে ফেরিতে।
সরকার সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও দোকানপাটও পুরোপুরি না খোলায় তারা এখন হয়তো আবার বাড়ি ছুটছে। তাছাড়া সরকার ঘোষণা করেছে ঈদে নিজ নিজ ঘরে আবস্থান করতে হবে, বাড়ি যাওয়া যাবে না। তাই হয়েতো এসকল লোকজন আগেই ছুটছে বাড়ির উদ্দেশে।
মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর ঢল, সেই সাথে বেড়েছে ছোট ছোট গাড়ির চাপ। এক দেড় কিলোমিটার ছড়িয়ে পড়েছে এ ছোট গাড়ির চাপ। ঢাকা থেকে লোকজন বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট গাড়িতে করে মাওয়ায় এসে ফেরি পার হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গগামী ছোট গাড়ির প্রচুর চাপ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো: শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৩টি ফেরি চলাচল করলেও দক্ষিণবঙ্গমুখী গাড়ি ও যাত্রীর চাপে লোডিং আনলোডিংয়ে সমস্যা হচ্ছে। পন্টুনে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া করোনা ভয়ে স্টাফরা ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না। তারা গাদাগাদির মধ্যে যেতে চাচ্ছেন না। আমাদের একজন স্টাফ ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আজ দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর ঢল নেমেছে। # কাশেম