দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানীর রামপুরা আফতাব নগর এলাকা থেকে মানবপাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩ । একই সাথে ১৩ জন “জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক”(নারী) ভিকটিম, বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের কপি, জন্ম নিবন্ধনের ফরম এবং পাসপোর্টের ফরম উদ্ধার করেচেন র্যাব কর্মকর্তা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (ইন্ট এন্ড মিডিয়া শাখা) পক্ষে পরিচালক গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, র্যাব এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩ প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গি, সাইবার ক্রাইম, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, মানবপাচারকারী, চাঁদাবাজ, নৈরাজ্যকারী, বিভিন্ন মামলার আসামী, অপহরণকারী, জালনোট ব্যবসায়ী, প্রতারক চক্র এবং চা ল্যকর অভিযানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি মানবপাচার উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরনার্থীর সংখ্যা দেশে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কিছু দালাল শ্রেণীর লোক এবং অসাধু পাসপোর্ট কর্মকর্তা এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রদান করে বিভিন্ন দেশে পাচার করছে।
র্যাব-৩ এই মানবপাচার বিরোধী অপারেশন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সংবাদ পায়, একদল পাচারকারী রোহিঙ্গা নারীদের পাচারের উদ্দেশ্য আফতাব নগর এলাকায় একটি বাসায় অবস্থান করছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ ১১০০ ঘটিকায় বাসা নং-৪০, রোড-০২, আফতানগরে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ “জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক” (নারী) ভিকটিম, বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের কপি, জন্ম নিবন্ধনের ফরম এবং পাসপোর্টের ফরম উদ্ধারসহ ০২ জন পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ কবির আহমেদ (৪০), জেলা-কক্সবাজার এবং মোঃ এমরান (২৮), জেলা-টেকনাফদ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। মোঃ কবির (৪০) ০৭ মাস পূর্বে এই বাসা ভাড়া নেয়।
সে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারী সংগ্রহ করে বিভিন্ন ভাবে ঢাকায় নিয়ে আসে। এ চক্রের অন্য দুই সদস্য পলাতক হাবিব এবং ধৃত মোঃ এমরান (২৮) পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরী করে তাদের মালয়েশিয়া, দুবাইসহ অন্য কিছু দেশের ভিসা সংগ্রহ করে উচ্চ মূল্যে আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের নিকট বিক্রি করে দেয়।
মোঃ কবির (৪০) ও মোঃ এমরানকে (২৮) র্যাব বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ চক্রের বাকিদের গ্রেফতারের জন্য র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।
উদ্ধারকৃত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক (নারী) দের ক্যাম্পে প্রত্যাবর্তন এবং ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। #