দীরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলার আসামি রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী এবং পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ (রাসেল) ও আশফাক আজিজসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় আর কোনো বাধা রইল না।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ আসামিদের পক্ষে মামলা কাতিলের আবেদন খারিজ করে আদেশ জারি করেছেন।
আদালতে আজ বৃহস্পতিবার আবেদনকারীদের (আসামি) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক খান ও ব্যানিষ্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কে এম সাইফুদ্দিন আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেটপ একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
আদালতের বাইরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, এরআগে ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আর এসডি ফয়েজ ও একেএম ওয়াহিদুল ইসলামের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এদিকে দুদকের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে’ যোগসাজশে অবৈধভাবে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেমের দুই ছেলে শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজকে পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে মোট ২০ কাঠা জমির দুটি প্লট বরাদ্দ দেন।
অথচ তারা ওই প্রকল্পে শিল্পপতি কোটায় প্লট বরাদ্দের আবেদন করে প্লট পাননি। সে কারণে ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়ে জামানতের টাকা তুলে নেন। আবেদন প্রত্যাহারকারীরা বিবেচনাযোগ্য না হলেও তা রাজউকের বিশেষ বোর্ড সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয় বলে এজাহারে বলা হয়। সে কারণে বোর্ডের সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়।/