দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযানের ষষ্ঠ দিনে ১৩ হাজার ১৩৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শনকালে ৯৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানে আরো ৭ হাজার ৭৪১টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলায় মোট ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ৪ জুলাই দশ দিনব্যাপী শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত মোট ৭৯ হাজার ৪৪০টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৫৬৪টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৪৮ হাজার ১৩৫টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ চারদিনে ১০৮টি মামলায় মোট ১৪ লাখ ২ হাজার ৩১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বৃহস্পতিবার উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১১৮ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে ৫টি মামলায় মোট ২৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৯১৯টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৬৮০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৭০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি মামলায় মোট ১ লাখ ৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫০৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৭ টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯৯০টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫১৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৮১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ১ হাজার ৯৬৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫৩৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১০৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯৩৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭৩২টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৩৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৪৭১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫১৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ২৭৮টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬৭৭টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৫৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
চিরুনি অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য সকল এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।