দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ঢাকা থেকে সিলেটগামী চলন্ত ‘পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে’ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উসমানগড় এলাকায় অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির হয়েছে। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর থেকে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন যোগযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে। ট্রেনের এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১১ জুন) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পূর্বা লের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি বলেন, পারাবত ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ এবং কেউ দায়ী থাকলে তা চিহ্নিত করে দ্রæত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কমিটিতে ৪জন করে সদস্য রয়েছেন। দুটি তদন্ত কমিটির একটি হলো ডিভিশনাল কমিটি, অন্যটি জোনাল কমিটি।

এদিকে রেলওয়ের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, একটি কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে পূর্বা লের ঢাকা বিভাগের পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল কবিরকে। এ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উসমানগড় এলাকায় ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্মীরা। ট্রেনের পাওয়ার সার্ভিসের বগি থেকে ট্রেনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের তিনটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর থেকে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন প্রত্যক্ষ দর্শিরা গণমাধ্যমকে জানান, চলন্ত ট্রেনের পাওয়ার সার্ভিসের বগি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামালে যাত্রীরা নেমে পড়েন। আগুনে তিনটি বগি পুড়ে যায়। আগুন লাগা তিনটি বগিকে আলাদা করে কর্তৃপক্ষ। সামনে থেকে ৮টি বগি এবং পেছনের ৪টি বগি আলাদা করে ট্রেনের বগিগুলোকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে কর্তৃপক্ষ। এতে ১২টি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা গণমাধ্যমকে জানান, ট্র্রেনে আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কমলগঞ্জের ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল থেকে আরও ৩টি ইউনিট যোগ দেয়। এক ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্বভ হয়েছে। এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ট্রেনে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা ধারণা করছেন, এসির কোনো ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বগি থেকে পাওয়ার কারকে আলাদা করা হয়েছে। যাত্রীবাহী কোনো বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে রেলের একটি সূত্র জানিয়ে অন্তত তিনটি যাত্রীবাহী বগি আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। #