দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে প্রকাশিত অর্থ পাচারে জড়িত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে সরকারের তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোট। আদালত একইসঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে অর্থ স য়কারীদের তালিকা দাখিল করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৬ মার্চ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে তদন্তের আপডেট তথ্যসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বে এ আদেশ দেন । আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান, রাণ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। অর্থ পাচারে জড়িতদের নিয়ে প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে প্রকাশিত বাংলাদেশি ৬৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা হাইকোর্টে গত ২৬ জানুয়ারি দাখিল করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ (রোববার) ওই তালিকার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয় নিয়ে শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টে বিএফআইইউ’র দাখিল করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠনসহ ৬৯ জনের তালিকায় দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে প্যারাডাইস পেপার্সের প্রকাশিতদের মধ্যে রয়েছেন, মাল্টিমোড লিমিটেডের আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ফাতেমা নাসরিন আউয়াল, তাবিথ আউয়াল, মোহাম্মদ তাফসির আউয়াল, মো. তাজওয়ার আউয়াল, মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের ফয়সাল চৌধুরী, ওয়াই ফরিদা মোগল, শহিদ উল্লাহ, সামির আহমেদ, সেভেন সিজ অ্যাসেটস লিমিটেড, সোয়েন ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর পাওয়ার লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর পাইপলাইন লিমিটেড, এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ বন্টক সেভেন লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ বন্টক ফাইভ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ বন্টক রেটন লিমিটেড, বারলিংটন রিসোর্সেস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ বন্টকস থারটিন অ্যান্ড ফরটিন লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ বন্টক টুয়েলভ লিমিটেড, ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ (বারমুডা) লিমিটেড, টেরা বাংলাদেশ ফান্ড লিমিটেড।
আর পানামা পেপার্সে নাম আসা ৪৩ জন হলেন, বেগম নিলুফার কাজী, হংকং সাংহাই টেক্সটাইল স্পিনিং লিমিটেডের জাফরুল্লাহ কাজী (কাজী জাফর উল্লাহ), কাজী রায়হান জাফর, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডারের ক্যাপ্টেন সোহাইল হোসাইন (হাসান), স্পার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম, বাংলা ট্র্যাক লিমিটেডের আমিনুল হক, নাজিম আসাদুল হক ও তারিক ইকরামুল হক, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম ও আসমা মোনেম, বিএপিআইয়ের সাবেক সভাপতি ড. এ এমএম খান, মমিন টি এর আজমত মঈন, পাট ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার মোদী, অনন্ত গ্রুপের শরীফ জহির, মার্কেন্টাইল কর্পোরেশনের আজীজ খান, আঞ্জুমান আজীজ খান, আয়েশা আজীজ খান, জাফের উমায়ের খান ও ফয়সাল করিম খান, সি পার্লের চেয়ারম্যান ড সৈয়দ সিরাজুল হক, ইউনাইটেড গ্রুপ অব কোম্পানির হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম, আহমেদ ইসমাইল হোসেন, আখতার মাহমুদ, মাসকট গ্রুপের চেয়ারম্যান এফএফ জোবায়দুল হক, সেতু কর্পোরেশনের মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও উম্মে রাব্বানা, স্কয়ার গ্রুপের স্যামসন এইচ চৌধুরী, এছাড়া বিটিএল, ক্যাপ্টেন এম এ, এফএম জোবায়দুল হক, সালমা হক, খাজা শাহাদাৎ উল্লাহ, মীর্জা ইয়াহিয়া, সৈয়দা সামিয়া মীর্জা, আমিনুল হক, তারেক একরামুল হক, জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদ, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ সিরাজুল হক ও জুলফিকার হায়দার। আলোচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ আরো যারা বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িতদের তালিকাসহ তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট ।
#