নিজস্ব প্রতিবেদক
মাত্র ৬ ঘন্টার বৃষ্টিতেই রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে। আষাঢ়ের বিদায়ক্ষণে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। টানা বৃষ্টিতে কাকভেজা রাজধানী ঢাকা। আবহাওয়া অফিস বলছে, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই বর্ষা মৌসুমে সর্বোচ্চ। এর আগে প্রি-মনসুনে (বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে) ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২৭ মে ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়।
ঢাকার ২৩ সড়ক ডুবে বিকল যানবাহন, তীব্র ভোগান্তিতে নগরবাসী ঢাবির দুই হলে হাঁটুপানি, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা গণমাধ্যমকে বলেন, মনসুন শুরু হওয়ার পর এটা সর্বোচ্চ বৃষ্টি। বর্ষা মৌসুমে এটা স্বাভাবিক বৃষ্টি, যা এ বছরে সর্বোচ্চ। গত ২৭ মে ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়, তবে সেটা ছিল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম ৩ ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এরপর বৃষ্টি আরও ভারী হয়ে পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পরও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল, তবে তা সামান্য।
কাজী জেবুন্নেছা আরও বলেন, আগামীকাল শনিবারও রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। রোববার থেকে আবার বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে ডুবে যায় রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকা। ডুবে যায় বেশ কয়েকটি সড়ক। এসব সড়কে চলাচলরত যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। মাঝ সড়কে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় যান চলাচল বিঘ্ন হয়, সৃষ্টি হয় যানজট। সব মিলিয়ে বৃষ্টি, যানজট আর জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রাজধানীবাসিকে।
সকাল থেকে রাজধানীর ২০টিরও বেশি সড়কে সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, গত ৩০ মে টেকনাফ উপকূলে পৌঁছায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প নিয়ে আসে। এর প্রভাবে মেঘ সৃষ্টি হয় ও বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকলে সারাদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়ে থাকে।