দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৬৫ লাখ জাল টাকা ও জালনোট তৈরীর সরঞ্জামসহ ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ( মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)।
গ্রেফতারকৃতরা ওই ৪ জন হলো- ১) মোঃ ইউসুফ আলী, ২) আব্দুর রহিম @ হেলাল হোসেন রহিম, ৩) ফজলে রাব্বী মিয়া ও ৪) মোঃ জাহিদ ইসলাম।
২৮ সেপ্টেম্বর গোপন খবরের ভিত্তিতে দুপুর দেড় টায় রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ওইসময় পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তাদের নিকট থেকে ৬৫ লাখ টাকা বাংলাদেশী মূল্যমানের জালনোট, একটি উঊখখ ল্যাপটপ, ৫ টি কালিসহ ২ টি কালো রংয়ের প্রিন্টার, জালনোট তৈরীর কাগজ ৪ বান্ডিল, জাল টাকা প্রস্তুতের নিরাপত্তা সুতা ১০ পাতা, জালনোট তৈরীর ডাইস২ টি, কাটার ৪ টি, জাল নোট তৈরীর ব্যবহারকৃত ঋঊঠওঈঙখ ঝঐ আঠা ১ টি, সাদা রংয়ের কালি ৫ টি এবং১ টি কাঁচ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা বড় কোন উৎসব যেমন ঈদ/ দূর্গা পূজা ইত্যাদি অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহ করে এবং বিক্রয় করে। উৎপাদকের এক লক্ষ টাকা তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা, পরবর্তীত সময়ে সে পাইকারী বিক্রেতার নিকট ১ লাখ টাকা ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করে।
পাইকারী বিক্রেতা ১ম খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ২০-২৫ হাজার টাকা, ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার নিকট বিক্রয় করে ৪০-৫০ হাজার টাকায় এবং ২য় খুচরা বিক্রেতা মাঠ পর্যায়ে সেই টাকা সমমূল্যে অর্থাৎ আসল এক লক্ষ টাকায় বিক্রয় করে। মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য/দ্রবাদি ক্রয়ের মাধ্যমে এই জালনোট বাজারে বিস্তার করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। #