দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী শাখার সাবেক দুই ব্যবস্থাপক সৈয়দ মামুনুর রহমান ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ফলে শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা ।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুদকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র মতে, ২০১৯ সালের ২৯ মে বাকেরগঞ্জ থানায় পদ্মা ব্যাংকের অফিসার সুজন মিয়া বাদী হয়ে উক্ত বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী শাখার বরখাস্ত হওয়া দুই ব্যবস্থাপক সৈয়দ মামুনুর রহমান ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলাটি দায়ের করেন। কিন্তু মামলাটি দুদকের সিডিউলভুক্ত অপরাধের হওয়ায় পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের কাছে পাঠানো হয়।
দুদকের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আসামী সৈয়দ মামুনুর রহমান শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) কলসকাঠী শাখা কর্মরত ছিলেন। এ সময় পরিমল চন্দ্র কুন্ডু নামের এক গ্রাহকের ৩ বছর মেয়াদি ১ লাখ টাকার এফডিআর, মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ঋণের ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, তাপস দত্ত নামের অপর এক গ্রাহকের ২৭ হাজার ৫০০ টাকা, মেসার্স নিপা ব্রিকস নামের প্রতিষ্ঠানের ১৬ লাখ এবং আবু ছালেহর মালকানাধীন মেসার্স স্টার ব্রিকসের ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। বিভিন্ন কৌশলে সৈয়দ মামুনুর রহমান মোট ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা টাকা আত্মসাত করেছেন।
এজাহারভুক্ত অপর আসামী জাকির হোসেন ওই একই শাখায় ব্যবস্থাপক (অপারেশন)ও শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ২০১৬ সালের ২ মে থেকে ২০১৯ সালের ২৮ মে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকাকলে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ১০২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে দÐবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। #