দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
প্রিমিয়ার ব্যাংকের কর্মকর্তা এফ এম শামসুল ইসলাম ফয়সালকে আত্মসাতকৃত ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার শর্তে জামিন আবেদন গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। আত্মসাতকৃত ওই অর্থ জমা দেওয়ার রশিদ আদালতে দাখিল করার পর তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বে এ আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ভল্ট থেকে ২০১৮-১৯ সালে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে জুয়ার আসরে খরচ করেছেন ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা (ক্যাশ ইনচার্জ) শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল। কিন্তু ওই টাকা আর ভল্টে এনে রাখতে পারেননি তিনি।
ওই ঘটনায় হওয়া মামলায় জামিন নিতে উচ্চ আদালতে আসেন শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল। তবে উচ্চ আদালত তাকে জামিন দিয়ে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। শর্তে বলা হয়েছে চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে বিচারিক আদালত থেকে জামিন নিতে হবে।
টাকা জমার রশিদ নিম্ন আদালতে দাখিলের পর তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আদালতে শুনানিতে ছিলেন আসামীর আবেদনকারীর আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সূত্র মতে, প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার কর্মকর্তা এফএম শামসুল ইসলাম ফয়সালের বিরুদ্ধে ভল্ট থেকে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের পক্ষে বোয়ালিয়া থানায় ব্যাংকের ম্যানেজার সেলিম রেজা খান মামলা করেন। পরে ১২ ফেব্রæয়ারি ফয়সালের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়েও মামলা করা হয়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত এফএম শামসুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর মামলা তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আদালতে শামসুল ইসলাম দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ব্যাংকের ওই ভল্টে সব সময় ১৫ কোটি টাকা থাকতো। তিনি পেছনের সারি থেকে টাকা সরাতেন, যাতে সামনে থেকে বোঝা না যায়। ফয়সাল বলেছিলেন, ২০১৮ সালে তিনি অনলাইনে ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েন। তখন থেকেই টাকা সরাতে থাকেন।
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জুয়ায় ঢেলেছেন তিনি। জুয়ায় হেরে যাওয়ায় টাকা ভল্টে এনে রাখতে পারেননি।
#