দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে নাশকতার অভিযোগের পল্টন থানার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৭ মে দাখিলের দিন ধার্য করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্ড মন্ডল ওই মামলার এজহার গ্রহণের পর আগামী ২৭ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নির্দেশ দেন।
গত সোমবার হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান বাদি হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ মে দিন করেছেন দিয়েছেন আদালত।
এই মামলার অপর আসামিরা হলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব নাসির উদ্দিন মনির, নায়েবে আমির মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাখজান মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নায়েবে আমির মাজেদুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জসিম উদ্দিন, টঙ্গীর সহ-সাংগঠনিক মাওলানা মাসুদুল করিম, অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা যাকারিয়া নোমান ফয়েজী, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, সহকারি দাওয়া সম্পাদক মাওলানা মুশতাকুন্নবী, ছাত্র ও যুব সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মো: জোবায়ের ও দফতর সম্পাদক মাওলানা হাফেজ মো: তৈয়ব।
এছাড়াও মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা দু’ থেকে তিন হাজার হেফাজত, জামায়াত, শিবির ও বিএনপি’র জঙ্গি কর্মীরা সারাদেশে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ জুমার নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে উত্তর গেটে সিঁড়িতে কয়েক হাজার জামাত-শিবির-বিএনপির ও হেফাজতের উগ্র মৌলবাদীরা নাশকতামূলক কার্যক্রম শুরু করে।
আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি বানচাল করতে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করে।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের টাইলস ভেঙ্গে ফেলে, বিভিন্ন হাদিস, কোরআন শরিফসহ ধর্মীয় পুস্তকে অগ্নিসংযোগ করে ইসলামের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে।
/