দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মোকাবিলার ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। যারফলে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থাকাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সেরা চিকিৎসা।
বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়ে একজন আম নাগরিকের কাছে গৃহবন্দি থাকার মানে কী? টিভি দেখা, বই পড়া অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকাই বেশিরভাগ মানুষের একঘেয়েমি কাটানোর উপায়।
কিন্তু গৃহবন্দি বা আইসোলেশনের অর্থকে এক্কেবারে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেলেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন।
করোনা সঙ্কটে গোটা আনন্দপুরি নিয়ে জার্মানির এক বিলাসবহুল হোটেলে ‘কোয়ারানটাইন’-এ থাই রাজা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পছন্দের ২০ জন সুন্দরী ও অসংখ্য চাকরবাকর নিয়ে এলাহি জীবনযাপন করছেন রাজা। এজন্য গোটা হোটেলটিই ভাড়া করেছেন তিনি। তবে রাজার সঙ্গে তার স্ত্রী’রা হোটেলে রয়েছে কিনা জানা যায়নি।
থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, রাজা বা রাজপরিবারের সদস্যদের সমালোচনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছর জেল হতে পারে। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে অনেক থাই নাগরিকই রাজার সমালোচনায় সরব। সেদেশের সোশ্য়াল মিডিয়ায় ‘#হোয়াইডুউইনিডঅ্যাকিং’ রীতিমতো ট্রেন্ডিং।
বিলাসবহুল সেই হোটেল চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন, দলবল নিয়ে এভাবে কোয়ারানটিন থেকে করোনার হাত বাঁচা মুশকিল। জার্মানির বিলাসবহুল হোটেলে বসে থাকা রাজা সোশ্যাল ডিস্টেনসিং মানছেন কি? # সূত্র : এই সময়