দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মানহানি ও ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে
দায়ের করা দুই মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন
ও বিচারপতি সাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ অসুস্থ আসামী বেগম খালেদা জিয়াকে ওই দুই মামলায় স্থায়ী
জামিনের আদেশ দেন।
আদালতে বেগম খালেদার জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদনটি শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।অপরদিকে
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী (
শেক হাসিনা) পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে নালিশি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক)
ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান
স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয়
লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে
লুটপাট ও হত্যা করছে।
পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেপ্তার, গুম এবং হত্যা করছে। উন্নয়নের নামে
পদ্মাসেতু ও ফ্লাইওভারের কাজ বিলম্ব করে ব্যয়বহুল অর্থ দেখিয়ে লুটপাট করছে। যার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের
নেতাকর্মীদের হুকুম দিচ্ছি, তোমরা প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে নেমে এ সরকারের বিরুদ্ধে সব জনগণ ও যুবসমাজকে
ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার ব্যবস্থা কর।’
এদিকে ২০১৪ সালে পুরান ঢাকায় দর্জিকর্মী বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে খালেদার জিয়ার বক্তব্যকে কেন্দ্র
করে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছিলেন এ বি সিদ্দিকী। এই দুই মামলায় হাইকোর্ট
খালেদা জিয়াকে জামিনসহ রুল দিয়েছিলেন। আজ দুই মামলায় স্থায়ী জামিন দিলেন আদালত। #