দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
১৬ মে ( শনিবার) ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস । পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ। ভারত পদ্মা নদীর পানি সম্পূর্ণ এক তরফাভাবে বন্ধ করে দেয় । ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল আজ পানির অভাবে মরুভমিতে পরিনত হয়েছে। ভারত ১০৭৫ সালে ২১ এপ্রিল মরণ ফাঁদ ফারাক্কা বাধ চালু করে ছিল । এর প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী লংমার্চ করে ছিলেন।
এদিকে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষ্যে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেমের (ন্যাপ বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম ও মহাসচিব নেয়াজ আহমদ খান এক যুক্ত বিবৃতিতে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানিয়েছেন । একইসাথে পদ্মা নদীর পানি সম্পূর্ণ এক তরফাভাবে বন্ধ করায় ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ন্যাপ বাংলাদেশের নেতৃত্বদ্বয় তাদের বিবৃতিতে বলেন যে, ফারাক্কা বাঁধের নির্মাণ কাজ পাকিস্তানী আমলে ১৯৬১ সালে শুরু করেও ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তা সম্পন্ন করতে পারেনি ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে গঙ্গা নদীর উপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত সম্পূর্ণ একতরফা ভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মা নদী ও শাখা নদী সমূহের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চলের সকল নদীর প্রবাহ হারিয়ে গেছে।
পদ্মা নদী কেন্দ্রীক বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল মরু ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ন্যাপ বাংলাদেশ নেতৃদ্বয় তাদের বিবৃতিতে বন্ধুত্বের দাবীদার ভারতকে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সাথে বন্ধুত্বের উপহাস করেছে বলে দাবী করেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ আমলের নতজানু নীতির কারণেই ভারত বাংলাদেশ অববাহিকায় ভাটি মুখে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম নির্মম উপহার দিয়েছে বলে ন্যাপ নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।
ন্যাপ বাংলাদেশের নেতৃদ্বয় দাবী করেন যে, প্রকৃতিগত ভাবে বাংলাদেশমূখী প্রবাহমান নদী সমূহে একতরফা বাঁধ নির্মাণের কোন অধিকার ভারতের নেই। ফারাক্কা বাঁধ, তিস্তা-টিপাইমূখ বাঁধ দেয়ার মাধ্যমে ভারত একের পর এক ৫৪ টি নদীর বাংলাদেশমূখী ভাটির গতিমূখ রুদ্ধ করছে। ফলে বাংলাদেশের প্রকৃতিতে তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের সাথে ভারতের পানি বন্টনের চুক্তি অনুসারে পানির ন্যায্য হিস্যা না দেয়ায় ন্যাপ বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা ভারতের নিকট পানির ন্যায্য হিস্যা দাবী করেছেন।
১৯৭৬ সালের ১৬ মে রাজশাহীর সোনা মসজিদ অভিমূখে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও দিশারী মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কর্তৃক লং মার্চ যেমন মরণ ফাঁদ ফারাক্কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে থাকবে। তেমনি, তিস্তা নদীর পানি ও টিপাইমূখ বাঁধ নিয়ে প্রতিবাদ মূখর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর ২০১২ সালে হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হওয়া এদেশের জনগণের নিকট যুগ যুগ ধরে প্রতিবাদের প্রেরণা হয়ে থাকবে বলে ন্যাপ বাংলাদেশ নেতৃদ্বয় তাদের যুক্ত বিবৃতিতে দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
প্রকৃতিগতভাবে প্রাপ্য পানির ন্যায্য হিস্যা হতে বঞ্চিত করায় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারতের বিরুদ্ধে যথাযথ অভিযোগ দায়েরের জন্য ন্যাপ বাংলাদেশ বিবৃতিতে আহবান জানিয়েছেন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।