দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামালসহ ৫ জনকে তলব করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বর্তমানে ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। অন্য চারজন হলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধার সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুস সালাম ও গাইবান্ধার সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক মাহমুদ।
পরে ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টও এই আদেশ বহাল রাখেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নাজমা সুলতানা।’
২০১৭ সালের ৩ আগস্ট আপিল বিভাগ নাজমা সুলতানার আবেদন খারিজ করে ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের আদেশের পরও বিউটি বেগমকে নিয়োগ না দেয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলেরও জবাব দেননি বিবাদীরা।
আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন আরো বলেন, ‘এ কারণে আপিল বিভাগ আজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক প্রতিরক্ষা সচিব ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামালসহ ৫ জনকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ। ১৪ ডিসেম্বর তাদের সশরীরে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’#