দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
গত ৫ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তকালে কতজনকে ‘দায়মুক্তি’ দিয়েছেন, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট।
উচ্চআদালত একইসঙ্গে দুদককে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে ‘দায়মুক্তি’ প্রাপ্তদের নাম, ঠিকানাসহ তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইকবাল মাহমুদ ২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। টানা ৫ বছর দুদক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে গত ৯ মার্চ তিনি বিদায় নেন।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ জারি করেছেন ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’- শিরোনামে গত ১৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এবং আজ মঙ্গলবার দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত সরকারি সংস্থা সাধারণ বীমা করপোরেশনে ‘১০ বছর ধরে জালিয়াতি, ২৬ কোটি টাকা আত্মসাত’ শিরোনামে আরেকটি একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনার পরই উচ্চ আদালত এই আদেশ জারি করেছেন।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্রিকার ওই প্রতিবেদককে (সাংবাদিক) প্রকাশিত প্রতিবেদনের যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে,‘দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ের আগে ‘দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে’ ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, “তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ ৫ মাসে তিনি ২ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন।
২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই শতাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। /