দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ১০৯ জন রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) পুরো বেতন, সুরক্ষা উপকরণ নিশ্চিত করা ও চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ।
রোববার ( ২৮ জুন) হাসপাতালটির চেম্বার কমপ্লেক্সের সামনে সকাল নয়টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিলেও তাদের পর্যাপ্ত পিপিই দেওয়া হয়নি। যেসব পিপিই দেওয়া হয়েছে তাও মানসম্মত নয়, আবার রিইউজ করতে হচ্ছে। এরইমধ্যে ১৬ জন আরএমও কোভিড পজিটিভ হয়েছে। যাদের চিকিৎসা দেয়নি বারডেম কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাদের।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সার্ভিস রুল অনুসারে, পার্মানেন্ট ও টেম্পোরারি দুইভাবে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। টেম্পোরারি চিকিৎসকদের ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে পার্মানেন্ট করা হয়। আর সার্ভিস রুল অনুযায়ী চিকিৎসকদের স্কেল অনুসারে বেতন দেওয়া হয়।
কিন্তু এ রুল না মেনে, ১০৯ জন মেডিকেল অফিসারকে ৩০ হাজার টাকা নির্দিষ্ট বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগের চাকরির বয়স এক থেকে তিন বছরের বেশি হলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। দুই মাস ধরে তাদের ১০ হাজার টাকা কম বেতন দেওয়া হচ্ছে এবং ঈদের বোনাসও অর্ধেক দেওয়া হয়েছে।
সকালে হাসপাতালের মহাপরিচালকের কাছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তিন জন প্রতিনিধি গিয়ে স্মারকলিপি দিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় মহাপরিচালক স্মারকলিপিটি গ্রহণ করলেও তার পক্ষ থেকে কোনও আশ্বাস দেওয়া হয়নি।
চিকিৎসকরা বলছেন, আমাদের কোনও ধরনের আশ্বাস না দিলে আমরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবো না। আমরা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করলেও রোগীদের কোনেও সমস্যা হচ্ছে না। সবাই সবার রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করছে। ডিউটি শেষে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে।
জানা গেছে, এর আগে ২০ জুন দাবি-দাওয়া নিয়ে মহাপরিচালকের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেখানে ২৭ জুন পর্যন্ত দাবি পূরণে সময় দেওয়া হয়েছিলে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনেও সাড়া না আসার কারণে রোববার তারা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, যারা আন্দোলন করছে তারা এখানে ট্রেনিং করছে, তারা বলছে স্থায়ী করতে। কিন্তু স্থায়ী করার পদ্ধতি আছে। সার্কুলার দেওয়া হলে তারা ইন্টারভিউ দিয়ে নিয়োগ পাবে, এখন তাদের পার্মানেন্ট করার সুযোগ নেই। # কাশেম