দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
১০৬ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ও জালিয়াতির অভিযোগে এবার আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের আসামি করে আরও ১১টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।আসামীদের বিরুদে অভিযোগ মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের সিগারেট আমদানি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নারগিস সুলতানা, সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম, মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী ও বিলকিস আকতার বাদী হয়ে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাগুলো (মামলা নং-১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮) দায়ের করেন।
মামলায় ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে ১১টি পৃথক ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রোগ্রামার ও এআইআর শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে কয়েকটি বড় সিন্ডিকেট মিথ্যা ঘোষণায় উচ্চ শুল্ক হারের সিগারেট আমদানি ও খালাস করে ১০৫ কোটি ৭২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়। ২০১৮ সালের বিভিন্ন সময়ে এ জালিয়াতি ও শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৫ মার্চ একই অভিযোগে ১০৫ কোটি টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরও তিনটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওইসব মামলাতেও কাস্টমসের প্রোগ্রামার ও এআইআর শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়।#