দূলবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরিত হলেও ম্যাডাম এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন।
আজ শুক্রবার(৪ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
সংবাদ সম্মেলন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো: শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে একটা বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো একেবারেই উনি যে সুস্থ হয়ে গেছেন তা কিন্তু নয়। বলা চলে এখনো একটা হেজারড অবস্থার মধ্যে আছেন, ভারগানেবল অবস্থার মধ্যে আছেন। তার (খালেদা জিয়া) হার্ট, কিডনি, লাং- এই তিনটা কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
যদিও তার ফুসফুসে সংক্রমণ নেই বা সেই ধরনের কোনো ইনফেকশনও নেই। কিন্তু হার্ট তার এখনো সমস্যা আছে, কিডনিতেও সমস্যা আছে। ক্রিটেরিন এখনো হাই।’
খালেদা জিয়াকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরের কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম সিসিইউতে ছিলেন, সেই সিসিইউতে তার কোভিড-পরবর্তি কতগুলো রিঅ্যাকশন হয়েছিল এবং আরেকটি রি-অ্যাকশন যেটা বিপজ্জনক ছিল যে, তার রক্তে কিছুটা ইনফেকশন হয়েছিল, যেটাকে সিস্টোফেনিয়া বলে।
আল্লাহ রহমতে ডাক্তারদের বিচক্ষণতা ও আন্তরিকতার কারণে সেই ইনফেকশনটা দূর হয়েছে। যেহেতু ওইখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, আবারো হতে পারে সেই কারণে উনারা তাকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করেছেন।’
উল্লেখ্য, এক মাস সিসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়াকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে সিসিইউর সকল সুবিধাদি রয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোভিড জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।
গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুটি নল স্থাপন করে তার ফুসফুসে পানি অপসারণ করা হয়। গত সপ্তাহে দুটি নলই খুলে ফেলার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হলো। সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। করোনামুক্ত হন ৯ মে।
#