দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে একটি হত্যা মামলায় এজাহার ও চার্জশিটে নাম না থাকার পরও উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ায় মামলাটি পুনঃতদন্ত তদন্তের নির্দেশ বিচারিক আদালতের। আর পুনঃতদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
ওই হাসপাতারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় ডা. নুসরাত ফারজানা উচ্চ আদালত থেকে জানিন নেন।অথচ ওই মামলার এজাহার ও চার্জশিটে তার নাম নেই।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার নথি থেকে জানা গেছে, এ মামলায় ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন ডা. নুসরাত ফারজানা। মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না।
এরপর চলতি বছরের ৯ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটেও তার নাম নেই। গত ২৭ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
১ জুন মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, মামলার আসামি ডা. ফারজানা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। মামলার এজাহার ও চার্জশিটে তার নাম নেই। অথচ ডা. ফারজানা জড়িত থাকার সন্দেহে মামলা থেকে জামিন নেন।
এর আগে ৯ মার্চ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন।#