দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার সহযোগি মো. জাহিদের ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা সিএমএম আদালত।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় রোববার (১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ রোববার একই মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।
পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেক আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর তাদের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এছাড়া শনিবার ইরফানের ব্যক্তিগত সহকারী দীপুর ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর দীপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়া ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ২৬ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো: জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।
মামলার পর ওই দিন দুপুর থেকে র্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’তে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো: জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দু’জনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডিএমপির রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল টাঙ্গাইল থেকে এ বি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেফতার করে। এর আগে একই মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের গাড়িচালক মো: মিজানুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। #