দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ১০ বছর কারাদন্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কার্যকর করতে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের নথি বিচারিক বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
দুদকের আইনজীবী বলেন, আইন অনুযায়ী আজকের দিন থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হাজী মো. সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর হাইকোর্টের রায়ের ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই। এর আগে হাজী সেলিমকে বিচারিক বিশেষ জজ আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদন্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
২০২১ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বে এই রায় দেন। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে প্রকাশ পায় রায়।
এছাড়া জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী সেলিমকে আদালত আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া জব্দ করা হাজী সেলিমের সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী মো. সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদন্ড দেন বিচারিক বিশেষ জজ আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী মো. সেলিম বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আসামী হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর শুনানি শেষে চূূড়ান্ত রায় ঘোষনা করেন হাইকোর্ট। সেখানে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদন্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল করা হয়।