দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার । আদালত একই সাথে এ সময়ের মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে নিম্ন আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আত্মসমর্পণ করতেও বলা হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম। এরপর শ্রম আদালত ইউনূসকে হাজির হতে গত ৮ অক্টোবর সমন জারি করেছিল।
সোমবার (২৮ অক্টোবর ) এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আদালতের বাইরে রোকন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তিন ব্যক্তি লেবার কোর্টে তিনটা মামলা করেছেন। এই তিন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। যখন মামলাটা ফাইল হয়, তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সময়ও তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
এখন ড. ইউনূস এয়ারপোর্টে আসলে গ্রেপ্তার হতে পারেন, তার জন্য উনার ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহীম একটি রিট পিটিশন করেছিলেন।
আদালত আদেশ দিয়েছেন উনি দেশে ফিরে ফ্রিলি কোর্টে যেতে পারবেন। উনাকে কেউ হয়রানি করবে না। তিনি ৭ই নভেম্বরের মধ্যে কোর্টে হাজির হবেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই গ্রামীণ ট্রাস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলমসহ তিনজন বেআইনভাবে চাকরিচ্যুতির অভিযোগে এই মামলা করেছিলেন। #