দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দেশের বহুল আলেচিত ঘটনা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব করার অভিযোগ উচ্চ আদালতের নজরে আনতে হয়েছে। রাজউকে জালিয়াতি,ঘুষ দুর্নীতি ও সেবাপ্রার্থীদের অমনাবিক হয়রানী শেষ নেই।আর এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে এসব বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।
অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে এবার রাজউকের সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েবের অভিযোগ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানী কমিটিতে রয়েছেন, দুদকের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত, সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান, পরিচালক (সিস্টেম অ্যানালিস্ট) মো. রাজিব হাসান।
সূত্র মতে,মো. রাজিব হাসান কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই কমিটি ইতোমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে। কমিটি গঠন সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য করেছেন।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি রাজউকের সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংস্থাটির ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ঘটনা অনুসন্ধানে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউকের সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ-১) মো. অলিউল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে রাজউককে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। এই য়ে কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে। নথি গায়েবের ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা, তদন্ত কমিটি তা বের করবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় কারা জড়িত কিংবা কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না, সেটি অনুসন্ধান করবে কমিটি। পাশাপাশি কেউ ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, সেটিও দেখা হবে।রাজউকের সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদনসংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গত ৬ ডিসেম্বর গায়েব হয়ে যায়। # কাশেম