দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলার আসামি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বালাপাড়া গ্রামে বাসিন্দা মো. করিম মিয়াকে রমনা থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই জালিয়াতি মামলার আসামি মো. করিম মিয়ার জামিনের আবেদন শুনানিকালে তাকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালত একই সঙ্গে এতোদিনের পলাতক এই আসামিকে গ্রেফতার দেখানোরও আদেশ দেন।
আজ বুধবার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমজাদ হোসেন।
আদালতের বাইরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সীল-স্বাক্ষর জাল করেছেন আসামি মো. করিম মিয়া। পরে ওই ঘচনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা হয়। এই মামলায় দুই আসমি গ্রেপ্তার হলেও করিম মিয়া এতোদিন পলাতক ছিলেন। আজ করিম মিয়া হাইকোর্টের আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তার আবেদনটির ওপর শুনানি নিয়ে তাকে জামিন না দিয়ে রমনা থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে বড় ঈদগাহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বাঁশ বোঝাই একটি ট্রাক থামায় হাইওয়ে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকের চালক মো. আজিম উদ্দিন ও তার হেলপার মো. মোতালেব হোসেন জানায় এই বাঁশ প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সীল-স্বাক্ষর দেওয়া একটি চিঠি দেখায়।
আরও ওই চিঠিটি ট্রাকের মালিক মো. করিম মিয়া তাকে দিয়েছে। এতে পুলিশের সন্দেহ হলে বাঁশভর্তি ট্রাকটি আটক করা হয়।
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, তিনি লেফট্যানেন্ট কর্নেল নন, তিনি কর্ণেল।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। তখন আসামিরা স্বাক্ষর জালের কথা স্বীকার করেন। পরে রংপুরের পীরগঞ্জের বড়দরগাহ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন ট্রাকের মালিক করিম মিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেন । /