জেলা প্রতিনিধি
হঠাৎ কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে নদ-নদী তীরবর্তী চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাচ্ছে।
এতে বন্যার আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটছে তীরবর্তী মানুষের। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে পাউবো জানায়, ধরলা নদীর পানি বেড়ে তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানিও সেতু পয়েন্টে বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্ট বাড়ছে।
নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিরপুর উপজেলার ১৫টি পয়েন্ট দেখা দিয়েছে ভাঙন। অন্যদিকে গতকাল রাত থেকে কুড়িগ্রাম বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
ধরলা পাড়ের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, ‘ধরলার পানি বাড়ার কারণে আমার পটোল ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এখন সব পটোল গাছ মরে যাবে। এখন পানি না এলে আরও অনেক টাকার পটোল বিক্রি করে লাভবান হতে পারতাম।’
রাজারহাট তিস্তাপাড়ের আসলাম বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি খুব বেড়েছে। চরের অনেক বাদাম ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তোলা বাদাম ঘরে আনতে পারছি না। চরের সব ডুবে গেছে।’
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ১২ ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুদিন এমন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি এবং তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।