দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত ২০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অথাৎ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়েই দুদক থেকে তাদের সম্পদের হিসেব চেয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ওই ২০ জনের সম্পদ বিবরণী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে পরিস্কার বলা হয়েছে, চিঠি প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে  নিজের এবং স্ত্রী, সন্তাানদের সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে হবে।

              দুদকের চিঠি প্রাপ্তরা হলেন:
১). মোঃ মজিবুল হক মুন্সি, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, ইপিআই, ১১ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা।
২) মিসেস রিফাত আক্তার, স্বামী- মোঃ মজিবুল হক মুন্সি।
৩) তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ইপিআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা।
৪) মিসেস খাদিজা আক্তার, স্বামী- তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া।
৫) মোঃ আব্দুল মালেক, গাড়ি চালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা
৬) মিসেস নার্গিস বেগম, স্বামী- জনাব মোঃ আব্দুল মালেক।
৭) মোঃ ওবাইদুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ।
৮) মিসেস বিলকিচ রহমান, স্বামী-মোঃ ওবাইদুর রহমান ।
৯) মোসা: রেহেনা আক্তার, স্টাফ নার্স, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর, স্বামী-মোঃ ওবাইদুর রহমান।
১০) মোঃ ইমদাদুল হক, হিসাব রক্ষক, রংপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতাল, রংপুর।
১১) মোছা: উম্মে রুমান ফেন্সী, স্বামী-মোঃ ইমদাদুল হক।
১২) মোঃ মাহমুদুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা(চলতি দায়িত্ব), জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।
১৩) মোছা: সাবিনা ইয়াছমিন, স্বামী-মোঃ মাহমুদুজ্জামান।
১৪) মোঃ নাজিম উদ্দিন, ষ্টোর অফিসার, শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর।
১৫) মিসস ফিরোজা বেগম, স্বামী-মোঃ নাজিম উদ্দিন।
১৬) কামরুল হাসান, অফিস সহকারী, হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা।
১৭) ডা: উম্মে হাবিবা, স্বামী- কামরুল হাসান।
১৮) মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ।
১৯) মীর রায়হান আলী, সাবেক সহকারী প্রধান (নন মেডিকেল) বর্তমানে সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়, বরিশাল বিভাগ বরিশাল।
২০) মোঃ আনোয়ার হোসেন, হিসাব রক্ষক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।

জনসংযোগ কর্মকর্তা আরো জানান গত ১৫ সেপ্টেম্বর দদুক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, দুদক আইন ২০০৪ এর ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (১) দ্বারা অর্পিত ক্ষমতাবলে তাদের নিজের এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি , দায়-দেনা , আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী চিঠি প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিলে নির্দেশ দেওয়া হলো।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।#